টি.আই.আরিফ:
গরম হয়ে উঠছে রূপগঞ্জের রাজনীতি। প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল রূপগঞ্জকে গুরুত্ব দিচ্ছে। শক্ত অবস্থানে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সুত্রের খবর নতুন কমিটিতেও ঘুড়ে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ২০১৯ সালে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রূপগঞ্জ আসন থেকে পরপর তিনবার সংসদ সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। তার নেতৃত্বে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন , সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। তার দক্ষ নেতৃত্বে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখছেন এবং তাদেরকে সময় দিচ্ছেন মন্ত্রী।
এছাড়া তিনি রূপগঞ্জসহ জেলার উন্নয়নে অবদান রাখছেন। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া পরপর তিনবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ঐক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর বিএনপিতে কোন্দল । গেল ২০ জানুয়ারি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ রূপগঞ্জ থানা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন । কমিটির সদস্যরা হলেন আহবায়ক এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, যুগ্ম আহবায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল, আশরাফুল হক রিপন , আবু সাদাত সায়েম , হাজী মো: সেলিম, এড. গোলজার হোসেন, এড.কাজী রেজাউল হক, আলহাজ¦ মো: মোস্তফা কামাল, মাহাবুবুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন ভুঁইয়া, আব্দুল আজিজ মাস্টার, সদস্য সচিব মো: বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সদস্য বাকির হোসেন (দীপুর কর্মচারী) , মোশারফ হোসেন, দুলাল হোসেন, এড. মাহমুদুল আহসান খোঁকা, মো: হারুন মিয়াজি, গোলাম মোস্তফা, এড. হেলাল উদ্দিন সরকার, হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া, হাজী আব্দুল মতিন, মো: শহিদুল্লাহ ,রমিজ উদ্দিন, মনির হোসেন মেম্বার, হাবিবুর রহমান বাবুল, মজিবুর রহমান মোল্লা, মো: সানাউল্লাহ ,জাহিদ হাসান ইমন, মো: আব্দুল জলিল, রজব আলী ফকির, মোঃ নুরুল্লাহ মোল্লা।
তাদেরকে ৪৫ দিনের মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সম্মেলন সমাপ্ত করে থানা সম্মেলনের তারিখ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা কমিটি। এখন দেখার অপেক্ষা গাজীর এলাকায় তারা কতটা দলকে শক্তিশালী করতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির প্রথম সারির এক নেতা সংবাদচর্চাকে বলেন, রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে বিতর্কিত লোক ডুকেছে। টাকা দিয়ে বড় পদ ভাগিয়ে নিয়েছে। নতুন কমিটিতে রূপগঞ্জ থানা বিএনপি এখন ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরের কথা আরও বেশি দুর্বল হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের জোড় বেশি। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাপটে বিএনপি মাঠে নামতে পারছে না। বিএনপির কিছু নেতা আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলে। রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন ও সদস্য সচিব বাচ্চু তারা দুইজন দিনে দীপু ভুঁইয়ার পক্ষে আর রাতে কাজী মনিরুজ্জামানের পক্ষে থাকে। তারা খালি জি হুজুর বলে। থানা বিএনপির সদস্য সচিব অথচ তার নামে কোনো মামলা নেই। তাহলে সে কিসের বিএনপির করে? আমার প্রত্যেকটা কর্মীর নামে একাধিক মামলা আছে। নয়াপল্টনে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের পাথর সমিতির অফিসে তারা রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা করে।