আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবৈধ ক্লাবে মিথ্যা লিজে লক্ষ লক্ষ টাকা বাণিজ্য প্রশাসন নিরব

শামীমা খানম: বারবার বিতর্কিত অবৈধ টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে মিথ্যা লিজে জমি বাণিজ্য অতঃপর চাঁদাবাজি এর উপর পত্রিকায় বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করার সত্বেও টনক নড়েনি কোন কর্তৃপক্ষের।

মিথ্যা লিজে জমি বাণিজ্য করে তার উপর অবৈধ টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছে কতিপয় হলুদ প্রকৃতির লোক। এই বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন গাজীপুর নগর ভবন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুর সিটি মেয়র ও গাজীপুর জেলা প্রশাসকেও অবগত করা হয়েছে ৫ই নভেম্বর।

তারপর ও কর্তৃপক্ষদের কোন নজর আসেনি। আসলে কে এই মিথ্যা লিজে জমি দিচ্ছে তার কোন সদ উত্তর দিচ্ছেনা নগর ভাবন ও টঙ্গী জোন-১ এর বাজার সম্পত্তি কর্মকর্তা নুরুজজামান মৃধা। বারবার বিতর্কিত টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে এই পর্যন্ত কয়টি অবৈধ ক্লাবের জমি লিজ দিয়েছেন তার কোন সঠিক তথ্য দিতে নারাজ এই কর্মকর্তা। কি ভাবে তিনি নীতিমালা বহিরভূত হয়ে যাকে খুশি তাকে মাত্র ২-১ জনকে মিথ্যা লিজে জমি দিচ্ছেন এই ব্যাপরে জনমনে প্রশ্ন এখন মুখরোচক।

আসলে টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে জমি না ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্লাব এই নিয়ে টান টান উত্তেজনা সুশীল সমাজে। মূলত ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাব ভাংচুর করে ছিলেনে কারা। টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাব পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করতে ২৩ জন সাংবাদিকের মধ্যে যখন ক্লাব ভাংচুর করে একজন ছাড়া বাকি ২২ জন কোথায় ছিলেন? তখন কেউ কেন প্রতিবাদ করেননি, কেউ কেন কলম ধরেনি, কেউ কেন ম্যাজিষ্টেটদের সামনে এসে প্রতিবাদি কথা বলেনি। এই বিষয়ে ঐসময়ে কে কলম ধরেছিল, (১) ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাব ভাংচুর। (২) টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাব ভাংচুরে মেয়রের দুঃক্ষ প্রকাশ। (৩) টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন (৪) টঙ্গীতে মিথ্যা লিজে জমি বানিজ্য। এই সব প্রতিবেদনগুলো করেছিলেন মেয়ে সাংবাদিকেরা।

আজ কারা টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে মালিকানা দাবী করে অবৈধ ক্লাব করে সমাজে হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এই সকল বিষয়ে সর্বপ্রথম ১১/০১/২০১৮ টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে জমি বরাদ্ধ পেয়েছিল কারা। ১৬/০১/২০১৮ তে ‘আনিক’ টঙ্গী জোন-১ কর্তৃক রিসিভ কপি পাঠিয়েছিল কে? ২৮/০১/২০১৮তে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন-১ টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে জমি বরাদ্ধের রিসিপ করেছিল কে?, কে টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের নামে মিথ্যা সভাপতি দাবী করে অন্য ক্লাবের নাম বসিয়ে জমি বানিজ্য করছে।

এখানেই শেষনয় শুরুহয় আরেক নতুন নাটক কে বা কারা নতুন করে আবারো ও টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি দাবি করে শুধু মাত্র একজন ব্যক্তি সকলকে বোকা বানিয়ে সম্পত্তি কর্মকর্তা নূরুজজামান মৃধাকে ঘুষ দিয়ে মিথ্যা লিজে জমি বাণিজ্য করে চাঁদাবাজি করছে।

যা বারবার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হচ্ছে যে, হলুদ কতিপয় অসাধু ব্যক্তিগণ এই কাজগুলো করছে আর প্রকৃত টঙ্গী সাংবাদিক ক্লাবের রেজুলেশন কর্তৃক সংগঠক তারা ঐ কুচক্রি মহলের মোখস খুলে জাতীর বিবেক তথা সাংবাদিকতার এই হাস্যকর পরিস্থিতির পরিসমাপ্তি চায়, তাই মাননীয় এমপি গাজীপুর-২ সুদৃষ্টি একান্ত কাম্য।