আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেলিম ওসমানের শর্ত ভঙ্গ

স্টাফ রিপোর্টার:
হলিডে মার্কেটকে ঈদ মার্কেট হিসেবে বসতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান অনুমতি দিলেও হকাররা তাকে দেওয়া কথা রাখেনি। নগরীর অন্য কোন সড়কের ফুটপাতে দোকান না বসানোর শর্ত মানেনি হকাররা।
শুক্রবার ৫ এপ্রিল থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত নবাব সলিমুল্লাহ রুটে হলিডে মার্কেট কে ঈদ মার্কেট হিসেবে বসার অনুমতি দিয়ে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তবে শর্ত ছিল এই পাঁচদিন নগরীর অন্য কোন সড়কের ফুটপাতে কোন দোকানপাট বসতে পারবে না। হকারদের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ এমপি সেলিম ওসমান বিকেএমইএ কমপ্লেক্সে হকার নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে শর্তসাপেক্ষে এমন অনুমতি প্রদান করেন।
সেদিন এমপি সেলিম ওসমান বলেন, শুধু ঈদ নয় সামনে আরও একটি দিন রয়েছে পহেলা বৈশাখ। সে পহেলা বৈশাখ আমরা দেখব যে কিছু করা যায় কি না। তবে যেহেতু আমরা এত বড় একটি ঘোষণা দিচ্ছি আমরা হকারের কাছে অনুরোধ থাকবে কোন অবস্থায় অন্য কোন সড়কে বসা যাবে না। বিভিন্ন সময় দেখেছি যখন হলিডে মার্কেট থাকে তখন সব হকার একসাথে এই সলিমুল্লাহ সড়কে থাকে। যখন হলিডে মার্কেট থাকে না তখন তারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। একজনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্ষতি হতে পারে না। এই জেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বসবাস করছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ তারিখ থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত হকাররা বসবে। নিশ্চিন্তে হলিডে মার্কেটে তারা বেচাকেনা করতে পারবে। তবে হলিডে মার্কেট চলাকালীন সময় হকাররা যদি অন্য কোন সড়কে বসে তাহলে আমি আশা করছি সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে। মানবতার দিক থেকে চিন্তা করেই আমরা হকারদের হলিডে মার্কেট করতে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা ছিল ফুটপাতে কোন হকার বসবে না। আমরা সবাই জেলা প্রশাসন, মেয়রসহ আমরা সবাই বসে একটি বৈঠক করলাম। আমাদের কাছে দুই হাজার হকারের তালিকা পেলাম, সেখান থেকে ৫০০ জন হকার নারায়ণগঞ্জের ছিল। আমরা চেষ্টা করছিলাম হকারদের একটা বাজার করা যায় কিনা।
তবে এমপি সেলিম ওসমানের এমন নির্দেশনা মানেনি হকাররা। তারা নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে ঈদ মার্কেট বসালেও শুক্রবার নগরীর প্রায় সকল সড়কের ফুটপাতে দোকানপাট নিয়ে বসেছে। ফুটপাতে দোকান পাট বসার কারনে ক্রেতাদের ভীড় মার্কেট পেরিয়ে সড়কে এসে পড়ে। ফলে তৈরি হয় যানজট। একটা সময় পুলিশের কর্তব্যরত সদস্যরা ফুটপাতের এসব হকারদের ফুটপাতে থেকে সরাতে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে শুক্রবার নগরী পরিণত হয় মানুষ জটের নগরীতে।