আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজেএমসি’র ভাড়াভিত্তিক মিলে কর্মসংস্থানের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি’র) ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয়েছে।

সোমবার ১৮ এপ্রিল দুপুরে নরসিংদীর পলাশে বাংলাদেশ জুট মিলস্ লি: এর উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন কালে তিনি একথা বলেন। পরিদর্শনকালে বস্ত্র ও পাট সচিব মো : আব্দুর রউফ, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২টি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস্ লি:, নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস্ লি:, চট্টগ্রাম) ভাড়াভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। অপর দু’টি জুট মিল (ক্রিসেন্ট জুট মিলস্ লি:, খুলনা ও হাফিজ জুট মিলস্ লি:, চট্টগ্রাম এর লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এছাড়াও ১৩টি মিলের জন্য ২য় EoI (Expression of Interest) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ৫৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়নপূর্বক প্রতিবেদন বিজেএমসিতে দাখিল করেছে। বিজেএমসি মূল্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহকে  RFP(Request for Financial Proposal) প্রদানের অনুমতি চেয়ে এ মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করেছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ পর্যায়ে আরও কয়েকটি মিল ভাড়াভিত্তিক লিজ প্রদান করা সম্ভব হলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং এ ক্ষেত্রে অবসানকৃত শ্রমিকগণ অগ্রাধিকার পাবেন।

উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলসমূহের বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ০১ জুলাই ২০২০ তারিখ হতে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

২৫টি জুট মিলের সকল স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩,৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও, যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।