আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ৪৫০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১

রাজধানীর মোহাম্মদপুর

রাজধানীর মোহাম্মদপুর

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন জেনেভা ক্যাম্প এলাকা হতে ৪৫০ (চারশত পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ও একটি মোটর সাইকেলসহ ০১ (এক) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের যুব সমাজ তথা নতুন প্রজন্ম’কে মাদকের নীল দংশনের ছোবল হতে পরিত্রান এবং সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবও কঠোর অবস্থান নিয়ে আসছে এবং নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সন্ত্রাস, চরমপন্থী ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযানে র‌্যাব বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রেখে চলেছে। গোয়েন্দা ও নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। র‌্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।

গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায়  র‌্যাব-২ এর অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন জেনেভা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে, শাহজাহান রোড, রহিম কাবাব এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট (ইয়াবা) ক্রয়-বিক্রয় উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রাপ্তসংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র‌্যাবের আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী ১। মোঃ আল আমিন @ জ্যাকি (৩০) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ইয়াবার চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে লোভে পরে ইয়াবা চালান সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য মতে সীটের নীচে টুলবক্স এর ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ইয়াবার চালান বের করে দেয়। সে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশলে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফ সীমান্ত এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে আসছে। সে অতি লাভের আশায়, রাতারাতি ধনী হবার নেশায়, নিজেকে নিষিদ্ধ এ মাদক ব্যবসায় জড়িয়েছে। ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।