আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যুর পর কফিন থেকে হাসালেন স্বজনদের

সবাই তার প্রিয়জনদের হাসিখুশি রাখতে চান। তেমনটা চেয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের এক ব্যক্তিও। কিন্তু আমরা যেমন জীবদ্দশাতেই সবাইকে হাসানোর চেষ্টা করি, এই ব্যক্তি নিজের মৃত্যুর পরেও শোক ভুলিয়ে সবাইকে হাসিয়ে দিয়ে গেলেন। আসলে সেটাই ছিল তার শেষ ইচ্ছা। তার মৃত্যুতে যেন প্রিয়জনরা চোখের জল না ফেলেন। বরং হাসতে থাকেন।

প্রায় তিন বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৮ অক্টোবর মারা যান আয়ারল্যান্ডের কিলকেনির শা ব্রাডলি। আইরিস মিরর জানাচ্ছে, তার শেষ ইচ্ছা ছিল, শেষের দিনে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজনদের চমকে দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। শেষ দিনের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখেন ব্র্যাডলি।

মৃত্যুর পর ৪ দিনের মাথায় ১২ অক্টোবর তাকে কবর দেয়ার প্রস্তুতি চলে। নিয়ম মেনে সব আচার অনুষ্ঠানের পর কবরে নামিয়ে দেয়া হয় কফিন। সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রস্তুত। হঠাৎ কফিনের ভিতর থেকে শোনা যায় ব্র্যাডলির গলা। তিনি চিত্কার করছেন, শোনা যাচ্ছে, “হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো? আমাকে এখান থেকে বের করো। এখানে প্রচণ্ড অন্ধকার। ওটা কি যাজক (প্রিস্ট)-এর গলা? আমি শা, এই বাক্সের মধ্যে।”

যিনি চার দিন আগেই মারা গিয়েছেন সেই ব্র্যাডলির গলা শুনে সবাই চমকে যান। হকচকিয়ে গিয়ে ভাবতে থাকেন হলটা কী? ব্র্যাডলি কি জেগে উঠলেন কবর থেকে? কিন্তু না এমন কিছুই হয়নি। ব্র্যাডলি সত্যি সত্যিই মারা গিয়েছেন, কবরের মধ্যে জেগেও ওঠেননি।

আসলে তার পরিকল্পনা মতোই ব্র্যাডলির বড় ছেলে জনাথন ও জনাথনের ছেলে বেনকে দিয়ে গোটা নাটকটি সাজান। ব্র্যাডলি প্রায় এক বছর আগেই তার এই পরিকল্পনার কথা জানান বড় ছেলেকে। তারা তিন জনে মিলে শা ব্র্যাডলির ওই কথাগুলি রেকর্ড করেন। তারপর তা শেষকৃত্যের দিন বাজিয়ে দেন। তাতেই সবাই প্রথমে চকমে গেলেও পরে দুঃখ ভুলে হাসতে শুরু করেন। আর এটাইতো চেয়েছিলেন ব্র্যাডলি। তার মৃত্যুর পরও তিনি যাতে হাসাতে পারেন প্রিয়জনদের। ব্র্যাডলির মেয়ে অ্যান্ড্রিয়া বিষয়টি নিয়ে একটি টুইটও করেন।-সূত্র আনন্দবাজার

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ