আজ বুধবার, ১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঝুঁকি নিয়েই যাত্রা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

যানবাহন খুলে দেয়ার পর থেকে মানুষের একদিকে চিন্তা কমেছে আবার অন্যদিকে বেড়েছে। যাতায়াত সুবিধার জন্য চাকরী বাঁচার কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যের দুয়ার খুললেও রয়ে গেছে জীবনের ঝুঁকি। এ ঝুঁকি ও শংকা নিয়েই গণপরিবহনগুলোতে চলাফেরা করছে সাধারণ মানুষ। কেননা স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও গণপরিবহণে তা পুরোপুরি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

সকাল থেকেই শহরের চাষাঢ়া, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মেট্রোহল মোড় থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে বাস ছেড়ে গেছে। এসব বাসে যাত্রীদের ভীড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি বাসে ওঠার জন্য ছিল যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই বাসে উঠছেন।  ঝুঁকি নিয়ে বাসে ওঠা কয়েকজন যাত্রী জানান, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করেন। চাকরি বাঁচাতে অবশ্যই তাকে অফিসে যেতে হবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে এত দূরে বাস ছাড়া অন্য মাধ্যমে যাওয়া-আসা অনেক খরচের ব্যাপার। ফলে জীবন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তার কিছুই করার নেই।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে দাবি করে নারায়ণগঞ্জ বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী বন্ধন, উৎসব ও হিমাচলের বাসগুলো ৪৬ থেকে ৫৪ সিটের। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এগুলোতে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এসি বাসগুলো ৪৫ সিটের, তাই সেগুলোতে ২২ জন করে যাত্রী উঠছেন। এছাড়া কোনো লোকাল বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী নিতে পারবে না, আমরা এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। সেগুলোতেও বিধি অনুযায়ী সিটের অর্ধেক যাত্রী যেতে পারবেন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনেই গণপরিবহন চালাচ্ছি।