সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জামতলায় অজ্ঞাত (২৪) নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ মার্চ) সকালে জামতলার হাজী ব্রাদার্স রোডের নির্মানাধীন রউফ টাওয়ারের সামনে থেকে লাশটি উদ্ধার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই ভবনের দারোয়ান ইদ্রিস জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির প্রাঙ্গন ঝাড়ু দেয়ার সময়ও লাশটি দেখেননি তিনি। পরে ভেতরে গিয়ে বাথরুম ও অন্যান্য কাজ সেরে বেরিয়ে সাড়ে ৮টার দিকে ভবনের সামনে লাশটি দেখতে পান। লাশ দেখে বাড়ির ম্যানেজারকে জানান বিষয়টি। এ সময় তার ডাকে আশেপাশের লোক জড়ো হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ফজলুল হক ও সঙ্গীয় ফোর্স এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাশটির হাতে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে লাশের পরিচয় জানা যায় নি।
এ ব্যাপারে তদন্তে আসা ফতুল্লা থানার এস আই ফজলুল হক জানায় ৯৯৯ থেকে আমাদের জানানো হয় যে জামতলার এই বাড়িতে একটি মৃতদেহ দেখাগেছে খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে আসি এবং দেখিযে এই নারীর মৃতদেহ পরে আছে।তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছেযে এটা মাডার তার দেহে বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন দেখা গেছে । এটা কি ধর্ষন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি যানান ময়না তদন্ত ছাড়া আমি কিছু বলতে পরিছিনা।
মরহুম ইদ্রস বেপারির জমতলার এই বাড়িতে তার তিন ছেলের মধ্যে হাজী জসিম উদ্দিন ও হাজী জামান উদ্দিন এই বাড়িতে বসবাস করে ।তাদের সাথে কথা হলে তারা বলে আমরা ৮টায় বাসা থেকে বেরহই ।কিন্ত আজ শনিবার বন্ধের দিন থাকাতে আমরা বের হই নাই। ৭.৩০সময় ম্যানেজার আমাদের এই মৃত নারী কথা যানায়। আমাদের ধারনা দারোয়ান ৭টার সময় ঝাড়ু– দিয়ে গেট খোলারেখে চা খেতে যায়। তখন হয়তো বা কেউ এই নারীর লাশ এখানে রেখে যেতে পারে।
তবে এলাকাবাসীর দাবি এই বাড়িটি সব সময় সংরক্ষিত থাকায় কেউ চাইলেই ভিতরে ঢুকতে পারেনা। আর কেউ যদি লাশ নিয়ে ভিতরে ঢুকতো তাহলে কারো না কারো চোখে পরতো ।তাই বলবো এই নারীর পরিচয় সনাক্ত করে তার মৃত্যুর সুষ্ঠু বিচার করা হোক।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. মঞ্জুর কাদের জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।