সংবাদচর্চা রিপোর্ট
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশে এখন খারাপ সময় চলছে। তাঁর অভিযোগ, দেশে গুম-খুন-নির্যাতন বাড়ছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঠিকঠাক সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের সংগঠিত ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও ধর্ষণবিরোধী ছাত্র সমাবেশে রফিউর রাব্বি এ কথা বলেন। সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য ফিরোজ আহমেদ বলেন, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি, বাজার দখলসহ বহুদিন থেকে বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য ও আগ্রাসন চলে আসছে। শাসকগোষ্ঠীর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে এটি বেড়েই চলেছে। চলতি অক্টোবরে যেসব চুক্তি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্মতি ছিল না। হতাশ হওয়ার অনেক কারণ থাকলেও আশাবাদী হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এখন। কারণ, বাংলাদেশে এখন কয়েক কোটি তরুণ। বর্তমান সময়ের তরুণেরাই এ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, অপরাধী তৈরির প্রক্রিয়া জারি রেখে কিছু অপরাধীর বিচারের মাধ্যমে সরকার তার দুঃশাসনকে আড়াল করতে চায়। হাইব্রিড তত্ত্ব প্রচার করে আওয়ামী লীগ নিজের লোকজনের দুর্নীতি ও সন্ত্রাস আড়াল করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ জানে, কারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে, কারা ব্যাংক লুট করে, প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে ছাত্রসমাজকে ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ পালনের আহ্বান জানান গোলাম মোস্তফা।
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু রায়হান খানের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শুভ দেব, টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহ্বায়ক ফাতেমা রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, সহসাধারণ সম্পাদক উম্মে হাবিবা বেনজির, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সালমান ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।