আজ বৃহস্পতিবার, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ কবি অতুলপ্রসাদ সেনের জন্মদিন

সংবাদচর্চা ডেস্ক

মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!’
ছোটবেলায় এই বাংলা পাঠ্যবইয়ে এই কবিতা পড়েননি এমন কেউ নেই। এমনই অনেক মধুর গীতিকাব্যের রচয়িতা অতুল প্রসাদ সেনের আজ ১৪৮ তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৭১ সালে ২০ অক্টোবার অতুল প্রসাদের জন্ম হয় ঢাকায়। খুব অল্প বয়সেই বাবাকে হারিয়ে অতুল প্রসাদ নানা কালীনারায়ণ গুপ্তের কাছে বড় হন। নানার কাছেই সঙ্গীত ও ভক্তিমূলক গানে তার হাতেখড়ি। ১৮৯০ সালে প্রবেশিকা পাশের পর অতুল প্রসাদ কিছুদিন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। পড়ে লন্ডনে গিয়ে আইন-বিষয়ক পড়াশোনাও করেন তিনি।
বাংলা ভাষা সাহিত্যে ও সঙ্গীতের এক অতি পরিচিত নাম অতুল প্রসাদ সেন ছিলেন একাধারে কবি, গীতিকার ও গায়ক। তবে বাংলাভাষীদের কাছে অতুল প্রসাদ সেন মূলত একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও সুরকার হিসেবেই পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতবর্ষে ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি গীতিকার, সুরকার ও গায়ক হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করেন। উনিশ শতকের শেষ থেকে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রবীন্দ্র প্রতিভার প্রভাব বলয়ের মধ্যে বিচরণ করেও যারা বাংলা কাব্যগীতি রচনায় নিজেদের বিশেষত্ব প্রকাশ করতে সক্ষম হন, অতুল প্রসাদ ছিলেন তাদের অন্যতম। তার রচিত সর্বমোট গানের সংখ্যা ২০৬টি।
অতুল প্রসাদ প্রবাসী (বর্তমান নিখিল-ভারত) বঙ্গ-সাহিত্য সম্মিলন প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি উক্ত সম্মিলনের মুখপত্র উত্তরার একজন সম্পাদক এবং সম্মিলনের কানপুর ও গোরখপুর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন। তার সমগ্র জীবনের উপার্জিত অর্থেরও বৃহৎ অংশ স্থানীয় জনকল্যাণে ব্যয় করেন। এমনকি তিনি তার বাসগৃহ ও গ্রন্থস্বত্বও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে দান করে যান। ১৯৩৪ সালে তার মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ব্রহ্ম মন্দিরের পাশে সমাহিত করা হয়।