আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অযাচিত মন্তব্যে বিএনপিতে বিভক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজনীতিতে চরম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নিজেদের অতিবাহিত করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা নেতাকর্মীরা আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছেন। শেষ সম্বল হিসেবে দলের পক্ষে থেকে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার নীতি অব্যাহত থাকলেও নিজেদের অভ্যন্তরীণ দন্দ আর অযাচিত মন্তব্যে ধীরে ধীরে বিভাজন বাড়ছে। আর এর পেছনে নেতার চাটুকার হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন নেতা অযাচিত মন্তব্য করে বিভাজনের পরিমান বাড়িয়ে তুলছেন।
তবে রাজনীতিতে একাধিকবার বিবাদমান দুইটি গ্রুপকে একত্রিক করার সুযোগ আসলেও ঘুরে ফিরে আবারও ভেঙ্গে যাচ্ছে ঐক্য। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ইস্যু কিংবা ছোট খাটো কর্মসূচীকে ঘিরে তৈরী হয় তাদের মধ্যে বিভক্তির ফাটল। এসকল ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী নেতাদের অযাচিত মন্তব্যে বিচ্ছেদ ঘটে পারস্পরিক সম্পর্কে। আর এসকল নেতাদের দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে চাটুকার, ডিগবাজিওয়ালা আর সুবিধাবাদী লোক হিসেবেই পরিচিতি পেয়ে আসছে। আর দলের গুরুত্বপূর্ন পদে থাকা নেতারাও কর্মী শূন্য রাজনীতিতে এসকল নেতিবাচক ব্যক্তিদের সাথেই নিয়েই নিজেদের চালিয়ে নিচ্ছেন।
দলটির সুত্রে জানা যায়, মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে বড় একটি পদ নিয়ে আসীন করে আছেন এক আইনজীবী। মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে সিনিয়র নেতা হলেও আদালতে তেমন প্রভাব নেই তার। তবুও আদালতের সিনিয়র নেতাদের সাথে তাল মিলিয়ে বারে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। ফলশ্রুতিতে আইনজীবীদের ভেতরেও তৈরী হয় মনমালিন্য। বার বার ডিগবাজী আর বিভক্তি তৈরীর কারিগর হওয়ায় তার নাম শুনলেই গাঁ জ্বালা করে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের।
বারের এক বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতা জানান, মহানগর বিএনপির এক নেতার কারনে বার বার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হচ্ছে। সে কখনও সাখাওয়াতের সাথে রাজনীতি করে। আবার কখনও তৈমূর আলমের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। বর্তমানে সে সাবেক সাংসদ ও মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে রাজনীতিতে রয়েছে। সে সাখাওয়াত বলয়ে থেকে বেরিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খানের দুর্নাম করে, তৈমূর বলয় থেকে বেরিয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের দুর্নাম করে। সে যদি বর্তমানে আবুল কালামের বলয় থেকে বেরিয়ে আসে তবে তার দুর্নামও ছড়িয়ে বেড়াবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
সবশেষ আবরার হত্যার বিচারের দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীতে মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম পুলিশের ধমক খেয়ে সটকে গেলে মনঃক্ষুন্ন হয় সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত এটিএম কামাল দলের স্বার্থে আক্ষেপ করে কিছু কথা বললে সেটিকে পুঁজি করে আবুল কালামের সাথে তার দন্দ তৈরী করে দেয়। এর আগেও একই ভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে সাখাওয়াতের সাথে আবুল কালামের দূরত্ব তৈরী করার নেপথ্যের খলনায়ক তিনিই ছিলেন।
এসকল কর্মকান্ডের পর স্পষ্টভাবেই বিভাজন ধীরে ধীরে চওড়া হচ্ছে রাজনীতিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেতৃবৃন্দদের সঠিক দিক নির্দেশনার অভাব, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অযাচিত মন্তব্যের কারণেই টিকে থাকছেনা দলের ঐক্য। আর এতে করে দলীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দল এবং ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে তরুন রাজনীতিবিদরা অচিরেই এসকল ব্যাক্তিদের দলে কালো তালিকাভুক্ত করে শোকজ সহ দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ারও দাবী জানান প্রবীন রাজনীতিবিদরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ