নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহুল বিতর্কিত তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি হিসেবে পরিচিত মাওলানা সাদ সমর্থিত তাবলীগের মুসুল্লিরা ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারে অবস্থিত বড় মসজিদে আসবেন। এখানে মুসুলি¬রা যাতে কোন প্রকার বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করতে না পারেন সেজন্য জেলা হেফাজতে ইসলামের আমির ও ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল অনুসারীরা কালিরবাজারে অবস্থান নিবেন বলে জানা যায়। এ খবর জেলা পুলিশ সুপার পর্যন্ত গেলে পুলিশ সুপার মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জরুরি তলব করেন। এবং বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুর ২টার দিকে সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শামীম পুলিশের গাড়িতে করে মাওলানা আউয়ালকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। এসময় পুলিশের গাড়ির পেছনে মাওলানা আউয়াল সমর্থিত মোটর সাইকেলের বহর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পর্যন্ত যায়। মাওলানা আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। এসময় আউয়াল সমর্থিত মুসুল্লিরা ডিআইটি মসজিদের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এ ব্যাপারে মাওলানা আব্দুল আউয়ালের ঘনিষ্ঠজন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামি বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে বিতর্কিত মাওলানা সাদ সমর্থিত একদল তাবলীগ জামাতের লোক কালিরবাজারের মসজিদে আসবেন। এসময় কেউ যেন কোন প্রকারের বিতর্কিত বক্তব্য না দিতে পারে সেজন্য আমরা সেখানে অবস্থান নেবো। এই খবর এসপির কানে গেলে তিনি আউয়াল হুজুরকে আলোচনার জন্য তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। তিনি অসুস্থ তাই ওসির গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ঢাকার কাকরাইল মসজিদে পূর্বে তাবলীগের দু পক্ষের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেরকম যেন নারায়ণগঞ্জে না ঘটে সে ব্যাপারে আলোচনার জন্য এসপি সাহেব মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাকে কেবল আলোচনার জন্য আনা হয়েছিল, গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয় নি।
কোন রকম সংঘর্ষ হবার সম্ভবনা আছে কিনা জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, তেমন সম্ভবনা নেই। সেখানে থানা পুলিশ মোতায়েন করা আছে। কোন রকম ঝামেলা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬ট পর্যন্ত তাবলিগ জামায়াতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ সমর্থিতরা আসেননি।
উল্লেখ্য, এর পুর্বে একাধিকবার তাবলীগের মুরুব্বি সাদপন্থী ও সাদবিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জে মাওলানা আব্দুল আউয়ালও বেশ বিতর্কিত। সম্প্রতি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সাথে মাওলানা আব্দুল আউয়াল সমর্থিত লোকদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মাওলানা আউয়ালের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে।