পৃথক দু’টি মামলায় সিটি কর্পোরেশনের দু’জন কাউন্সিলরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের আদালত। বুধবার নারায়ণগঞ্জের পৃথক দু’টি আদালত দুই কাউন্সিলরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত একটি ধর্ষণ মামলায় সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবেক যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকারকে কারাগারে পাঠানোর দির্দেশ দেয়।
একই ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশাকে একটি হত্যা মামলার শুনানি শেষে তাকা কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারাক মশিউর রহমান। এর আগে এই দুই কাউন্সিলর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিল।
দুই কাউন্সিলরকে কারাগারের পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
এ সময় দুই কাউন্সিলরের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, আফসানা আফরোজ বিভা, শাওন অঙ্কন, মনিরুজ্জামান মনির, অসিত বরণ বিশ্বাস, আব্দুল করিম বাবু, কামরুল হাসান মুন্না, মো. শাহীন মিয়া, সুলতান আহম্মেদ ভুইয়া ও আনোয়ার ইসলাম প্রমুখ।
জানা যায়, সাবেক যুবদলের সভাপতি খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সাঈদা আক্তার গত বছেরর ২৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।
নারায়ণগঞ্জ পিবিআই পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে অভিযোগটি গুরুত্বসহকার তদন্ত করে। এর অভিযোগটির তদন্ত শেষে গত ৮ নেভম্বর সেটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। সংস্থাটির তদন্তে মাকসুদুল আলম খন্দকারের ব্রিুদ্ধে ধর্ষণের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় তদন্তে প্রতিবেদনের উল্লেখ করে। এরপর আদালত অভিযুক্ত মাকসুদুল আলম খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থাপনের জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু করে।
কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের পরিবার জানিয়েছে, যখন আদালত মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ইস্যু করে তখন সিটি নির্বাচন শুরু হয়ে যায়। পরে তারা ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে ১৪ জানুয়ারী সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
অপরদিকে, বন্দর উপজেলার বাগবাড়ি এলাকার একটি বিরোধকে কেন্দ্র করে সেখানকার স্থানীয় হাসিনা বেগম নামের এক নারী সেই বিষয়ে ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার কাছে একটি নালিশ দেয়। একই সাথে ওই নারী বিরোধের বিষয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। ওই অভিযোগের ঘটনায় বন্দর পুলিশের একটি দল গত ১ মে রাত ৯টার দিকে আহমেদ বাবুকে ধরতে তার বাসায় যায়। এরপর পুলিশের ধাওয়া খেয়ে একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় ঝাপ দেয় বাবু নিখোঁজ হয়। এরপর গত ৪ মে সেই পরিত্যাক্ত ডোবায় নিখোঁজ বাবুর মরদেহ ভেসে উঠে।
বাবুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার মা কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাকে হুকুমের আসামী করে আরো বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।