নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সামনের রাস্তার বেহাল অবস্থা। মাসের পর মাস চলে গেলেও সংস্কার করা হয়নি রাস্তাটি। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবি মানুষ ও পথচারীরা। এক হলো রাস্তা ভাঙ্গা তার সাথে আছে আনন্দ পরিবহনের অবৈধ বাস স্ট্যান্ড।
গতকাল সরজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া রেললাইন থেকে পশ্চিমে কলেজের সামনের রাস্তা হয়ে ডাকবাংলো পর্যন্ত কোথাও কোথাও রাস্তায় খানাখন্দ ও ছোট-খাট গর্ত দেখা যাচ্ছে । রাস্তায় প্রায় অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে গিয়ে হাজারো গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচল একেবারে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এই রাস্তায় চলতে গিয়ে যানযট ও ছোটখাটো দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন অনেকে। ভাঙ্গা রাস্তা তার সাথে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি, রিক্সার জট, এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজট। রাস্তাটিতে চলতে গিয়ে পথচারিদের সময়ের অপচয় হচ্ছে ২ মিনিটের রাস্তা পারাপারে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে পথচারীদের।
মহিলা কলেজের এইচ.এস.সি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তাবাসসুম আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তার অবস্থা খুবই করুন। কলেজে আসতে হলে অনেক সময় পার হচ্ছে,লাইনে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে হেটে কলেজে আসতে হয়। রিক্সা বা সিএনজি নিয়ে কলেজের সামনে আসা যায় না। বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি, রিক্সা মাধ্যমে জমাট লেগে থাকে সারদিনব্যাপি এতে করে এই পথে চলাচলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের।
সরকারি তোলারাম কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তাফাজ্জল হোসাইন জানান, মহিলা কলেজ হয়ে তোলারাম কলেজে যেতে হয়। কিন্তু চাষাড়া মহাসড়ক থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত ভাঙ্গা রাস্তার মাঝে বাস, সিএনজি, রিক্সা মাধ্যমে জমাট লেগে থাকে।কলেজ ও কোচিংয়ে সময়মত যাওয়া যায়না, গুরুত্বপূর্ণ ক্লাশ ও পরীক্ষার হলে সঠিকসময়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ভাঙ্গা রাস্তা ও যানযটের কারনে পথচারীদের মাঝে লাইন সৃষ্টি হয়, এখানে নিয়মিত ছিনতাইয়ের মত দূর্ঘটনাও ঘটে। এই রাস্তাটি সংস্কার হলে আমরা সঠিকভাবে চলাচল করতে পারবো, আমাদের অনেক ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
মাসদাইয়ের আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলে, অফিসে সময়মত যাওয়া যায় না। অফিসে যাওয়ার সময় প্রায়ই এই রাস্তায় রিক্সায় বসে আধা ঘন্টা কাটাতে হয় মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তায়। আবার রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় একটু গাড়ি চললেও একটু পরে গাড়ি থেমে যায়। আমরা সময়মত কোন স্থানে পৌছাতে পারিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর মধ্যে ডাইভার্ট করলে ও সকলে মিলে এগিয়ে এসে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে যানজট কমানো সম্ভব। নির্দিষ্ট পরিমানের গাড়ির অধিক গাড়ি চলাচলের করছে এর ফলে চাষাড়া মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।