আজ রবিবার, ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আশার মুকুল ঝরে যেতে শুরু করেছে : রিজভী

আশার মুকুল ঝরে যেতে

আশার মুকুল ঝরে যেতে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সংলাপে সরকারের মনোভাব গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংলাপের শুরুতে মানুষের মনে যে আশা জেগে উঠেছিল, সংলাপ শেষে সে আশার মুকুল ঝরে যেতে শুরু করেছে। সংলাপ শেষে সাত দফা দাবির প্রতি সাড়া না দেওয়ায় আওয়ামী অনড়তায় সুষ্ঠু নির্বাচনের অগ্রগতি তিমিরাচ্ছন্ন হলো। আওয়ামী লীগ সহিষ্ণুতার শিক্ষা কখনোই গ্রহণ করেনি।’

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘একদিকে সংলাপের কথা বললেও অন্যদিকে বিএনপি ও বিরোধীদলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সরকার।’

বিএনপি, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটে। নতুন জোটের সাত দফা দাবির মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে সংলাপ হয় ঐক্যফ্রন্টের।

সেই সংলাপ থেকে বেরিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিষয় তুলে ধরে তাঁর মুক্তির দাবিও করেছি। কিন্তু সে বিষয়ে আমরা সেখানে কোনো সদুত্তর পাইনি।’

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু সেখানে কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধান পাইনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব বিষয় নিয়ে আরো আলোচনা হবে।’

অন্যদিকে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আমরা তিন ঘণ্টা গণভবনে ছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংলাপের শুরুতে লম্বা বক্তব্য দিয়েছেন; কিন্তু আমরা সেখান থেকে কোনো সমাধান খুঁজে পাইনি।’

এরপর ৫ নভেম্বর সংলাপ হবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার।